চোখের তারায় আয়না
এ গান বাজানোর ইচ্ছে অনেকদিনের… সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘জাতিস্মর’ ছবির অসামান্য সংগীত শুনে ইচ্ছেটা ক্রমশ একটা নাছোড় জায়গায় চলে যাচ্ছিল। এ রেকর্ডিংটা বেশ কিছুদিন আগে করেছিলুম, আপলোড করার সাহস হচ্ছিল না, অবকাশও না। এ গান যে আমি কবীর সুমনের মত পারফর্ম করতে পারব না; তাঁর ভাষাতেই বলতে গেলে – তাঁর কয়েক কোটি মাইলের মধ্যেও যে আসতে … Continue reading
দুর্গা
আজ একজন অদ্ভূত মানুষের গল্প বলব। অনেক দিন থেকেই ভাবছি; এবারে বলতেই হবে। কিন্তু কোথা থেকে শুরু করব ভাবতে ভাবতে ক্রমশঃ পেছনে চলে যাচ্ছি। কথার টানে কথা আসছে। এ বড় বাজে ব্যামো। কোথায় ইচ্ছে ছিল আর্ট কলেজে ভর্তি হব, সে বিষয়েই পড়াশুনো করব – কিন্তু সেটা ইচ্ছেই থেকে গেল। ছবি আঁকার ক্ষেত্রে যেটুকু সহজাত দক্ষতা … Continue reading
ফাল্গুনের তাপে [Phalguner Taape]
তিনি এসে দেখলেন আমি কাজ থেকে ফিরে আপিসের পোশাকটা গা থেকে সবেমাত্তর নামিয়ে চুপ ক’রে ব’সে ব’সে কী করা যায় তাই ভাবছি। কয়েকদিন আগের কথা। ফেব্রুয়ারী তখন শেষের পথে। কী একটা দরকারে যেন আপিস থেকে বেরিয়েছিলাম একটু, হেঁটে ফিরছিলাম বেলভিউ নার্সিংহোমের উল্টোদিকের ফুটপাথ ধ’রে। আচমকা দেখলাম উজ্জ্বল লালরঙের কিছু ফুল ছড়িয়ে রয়েছে ফুটপাথের একটা বিশেষ … Continue reading
তৃতীয় সূত্র [Third law]
ছেলেবেলায় যখন ইস্কুলে নিউটনের তৃতীয় সূত্র হিসেবে পড়তাম, যে সব ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে; ব্যাপারটাকে একটু – যাকে বলে ‘বুকিশ’ ব’লে মনে হতো। ধেড়ে বয়েসের খামখেয়ালের মধ্যেও যে ত্রিলোকেশ্বর বাবুর বেড়াল বর্তমান, সেটা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। নইলে সেবার জুলাই মাসের বর্ষায় হঠাত্ বসন্তকে টেনে এনেছিলাম ব’লে এই মার্চের গনগনে বসন্তে মেঘ … Continue reading
ঘর থেকে পথে [Reaching Out]
শরীরটা বেশ খারাপই লাগছিল সকাল থেকে। মাথাটা কেমন যেন ব্যথা ব্যথা করছিল। সাত তাড়াতাড়ি দমদম এয়ারপোর্টে এসে বসেছিলাম। হাতে অঢেল সময়; সিকিউরিটি চেক চুকিয়ে বোর্ডিং পাস পকেটে ঝিম মেরে বসে থাকা ছাড়া অন্য কাজ ছিল না। লাউঞ্জে সার দিয়ে চেয়ার পাতা; আর তাতে সারি বেঁধে বসে আমারই মত আগেভাগে চলে আসা মানুষজন। এইসব ঘড়ির সাথে … Continue reading